Sunday, February 18, 2007

Imambara

ইমামবাড়া


বর্তমানে এটাই বাংলার সবচেয়ে বড় ইমামবাড়া যার দৈর্ঘ্য ২০৭ মিটার। পূর্বে এই স্থানে একটি কাঠের ইমামবাড়া স্থাপন করেন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা। ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা নির্মিত সেই কাঠের ইমামবাড়াটি এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ধ্বংস হ'লে, নবাব হুমায়ুন জা 'র পুত্র বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ নবাব নাজিম মনসুর আলী খাঁ ফেরাদুন জা ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বর্তমান এই ইমামবাড়াটি নির্মান করেন। প্রতি বছর মহরমের সময় এই ইমামবাড়াটি ১০ দিনের জন্য খোলা রাখা হয়।

The Imambara is situated in front of the Hazar Duari palace. Now, this is the largest Imambara in West Bengal (207 metres). Previously the Imambara was made of wood which was constructed by Nawab Siraj-ud-daullah, the Nawab of Bengal but it was detroyed by devastating fire in 1846 AD. Then this Imambara was again built by Nawab Humayunja's son Nawab Mansur Ali Khan in 1847 AD spending nearly seven lakh rupees. Each year it is opened for only ten days during the festival of Muharram.

Imambara (side view)



গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ২০মিঃ এ শিয়ালদহ থেকে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে চড়ে রাত্রি ১০টা ৩০মিঃ নাগাদ আমরা বহরমপুর স্টেশনে পৌঁছাই। এখানে এখন বেশ ঠাণ্ডা। রিক্সা চড়ে আগে থেকে বুক করে রাখা রয়্যাল হোটেলে (রানীবাগান, কুণ্ডু নার্সিং হোমের কাছে) গিয়ে উঠি। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আগেই রাত্রের খাবার কিনে রাখা ছিল। সেই খাবার খেয়ে ঘুম। সকালে উঠে, হোটেলেরই এক বয়ের সাহায্যে সারাদিনের ঘোরার জন্য ৫০০টাকায় একটা অ্যামবাসাডর গাড়ী ভাড়া করে নিলাম। তারপর স্নান সেরে, নিচে নেমে বাজারে লুচি, তরকারি দিয়ে ব্রেকফাস্ট , তারপর চা। তারপর গাড়ী করে সোজা লালবাগ (মুর্শিদাবাদ)। রাস্তায় মিউনিসিপ্যালিটি নির্ধারিত হারে টোল ট্যাক্স দিতে হয়। টোল ট্যাক্স জমা দেবার সময় আমরা একজন গাইড নিয়ে নিলাম। গাইডের নাম পলাশ। পরে বুঝেছিলাম, গাইডটা মোটেই ভালো নয়। আগের বার আমি যখন এসেছিলাম, তখন নিখিল সরকার নামে এক বৃদ্ধ গাইড পেয়েছিলাম, ভীষণ ভালো গাইড। যাইহোক, গাইড নেবার পর, আমাদের গাড়ী সোজা গিয়ে থামল হাজার দুয়ারী প্যালেস এর সামনে। প্যালেসের ঠিক উল্টো দিকেই এই বিশাল ইমামবাড়া।

Imambara was the first place we visited during our tour.
Side view of the Imambara.

Tower Clock



ইমামবাড়ার সামনে এই স্তম্ভঘড়ি। একে ঘড়ি ঘর বলা হয়। নবাবী আমলে হাজার দুয়ারী মহল থেকে সময় দেখার জন্যই এটা তৈরী হয়। এই ঘড়ি আজ বন্ধ।

Garden at Hazar Duari Palace



হাজার দুয়ারী প্যালেসের মধ্যস্থিত বাগান।


এটা নবাবী আমলের মসজিদ।


হাজার দুয়ারী প্যালেসের প্রকাণ্ড সিঁড়ির পাশে অবস্থিত এই কামান। তদানীন্তন সময়ে কোন পদস্থ ব্রিটিশ সাহেব এলে, এই কামান থেকে তোপ দেগে তাঁকে স্বাগত জানানো হত।

Bachche-wali Tope



হাজার দুয়ারীর উত্তরদিকে, মদিনার পাশেই রয়েছে এই কামান। একে "বাচ্ছেওয়ালী তোপ" বলা হয়। নবাব হুমায়ুন জা র সময় একে নদীগর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়। ১৬৪৭ খ্রীস্টাব্দে জনার্দন কর্মকার এইটি তৈরী করেন। এই কামানটিতে তিনটি কক্ষ আছে। দাগিবার সময় এতে ১৮ সের বারুদের প্রয়োজন হত। শোনা যায়, এটি একবার মাত্র দাগা হয়েছিল এবং সেই তীব্র আওয়াজ ১০ মাইল দূর পর্য্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত ঘটে। সেই কারনে এর নাম বাচ্ছেওয়ালী তোপ। এই দুর্ঘটনার পর নবাব খুব দুঃখিত হন এবং এর ব্যবহার বন্ধ করে দেন।

Siraj's holy Madina



এইটিই সিরাজের সময়ের স্থাপত্যশিল্পের একমাত্র নিদর্শন। সিরাজ নিজে এই মদিনার জন্য কারবালা হতে পবিত্র মাটি মাথায় করে বয়ে এনেছিলেন। সিরাজের মাতা আমিনা বেগম প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তাঁর পুত্র নবাব হ'লে মদিনার পবিত্র মাটি এনে বহু মূল্যবান রত্ন সামগ্রী দ্বারা দরজা প্রস্তুত করবেন। দরজার বেদীটি উত্তর হ'তে দক্ষিনে ৪ হাত, প্রস্থে ১ হাত ও গভীরতায় ১.৫ হাত। শোনা যায় মীরকাশিম যখন পরে নবাব হন, তিনি মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তরিত করার সময় এই মদিনার সমূদয় ধনরত্ন মুঙ্গেরে নিয়ে চলে যান। এই মদিনার দরজাটি কেবল মহরমের সময় খুলে দেওয়া হয় - আর বাকী সময় বন্ধ থাকে।

The Hazar Duari Palace

Hazar Duari Palace

Azimunnesha was buried here

In the memory of Azimunnesha Begum

Our Guide Palash

Old Pond at Kathgola Bagan

Dancing floor at Kathgola Bagan

Pareshnath Temple in Kathgola Bagan

Rajasthani Bathroom inside Kathgola Bagan

A piller at Katra Masjid (Mosque)

Thousands of Namaji can pray Namaj here

Katra Masjid at present

Murshidkuli Khan was buried here

Rear view of Katra Masjid

The grand canon of Mohonlal

Kala Masjid

Motijheel

New Palace (Wasef Manzil)

Wasef Manzil : Full view



মুর্শিদাবাদের নবাব স্যার ওয়াসেফ আলী মির্জ্জা নিজ বসবাসের জন্য এই প্রাসাদটি নির্মান করিয়েছিলেন। ইহা দক্ষিণ দরওয়াজা হতে হাজার দুয়ারী প্যালেস যাওয়ার পথে অবস্থিত। সুরেন্দ্র বরাট নামে এক বাঙালী ইঞ্জিনিয়ারের পরিচালনা ও তত্বাবধানে এই প্রাসাদটি তৈরী হয়। এই প্রাসাদের অভ্যন্তরে শ্বেত পাথরের সিঁড়ি ও সুদৃশ্য মর্ম্মর মূর্তিগুলি বিরাজমান।

Khoshbag



নিউপ্যালেস ঘাট হতে যন্ত্রচালিত নৌকা (ট্রলার) যোগে খোসবাগ দেখার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া লালবাগ সদর ঘাট পার হয়ে ভাগীরথীর পশ্চিমদিকে ১ মাইল পথ গেলেই খোসবাগ পৌঁছান যাবে।
এটা খোসবাগের প্রবেশদ্বার।

Alibardi Khan, Siraj -Ud- Doullah



নবাব আলিবর্দ্দী খাঁ তাঁর জীবদ্দশায় নিজ সমাধির জন্য এইটি প্রস্তুত করান। এর সুরক্ষার জন্য চতুর্দিকে উঁচু প্রাচীর বেষ্ঠিত করা হয় এবং নানা প্রকার মনোরম পুষ্পবৃক্ষাদি রোপন করা হয় ও নামকরণ করা হয় খোসবাগ। নবাব আলিবর্দ্দী, সিরাজ-উ-দ্দৌল্লা, লুৎফা ও সিরাজের পরিবারবর্গের সমাধি খোসবাগে বিদ্যমান। সিরাজের সমাধির পূর্বদিকে তাঁর ভ্রাতা মীর্জ্জা মেহেদীর সমাধি আছে।

The mosque where Siraj used to pray



সিরাজ তাঁর জীবদ্দশায় যখন আলীবর্দ্দীর সমাধি দেখতে আসতেন, তখন এই মসজিদে নামাজ পড়তেন।

Entrance at Khoshbagh

The river Ganges